Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে ১ ফলেই!

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ঘরেই ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগী আছেন! এসব ব্যাধি সাধারণত অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে। ত...

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ঘরেই ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগী আছেন! এসব ব্যাধি সাধারণত অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে। তাই এসব নিয়ন্ত্রণে আনতে ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যিতালিকায় পরিবর্তন আনাও জরুরি। 


বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে গড়মিল হলে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। আবার এই রোগীদের সব সময়ই মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
অনেকেই তো জিভে সামলাতে না পেরে খেয়েও ফেলেন পছন্দের সব মিষ্টান্ন। তবে কিছু ফল আছে যেগুলো পুষ্টিতে ভরপুর আবার মিষ্টির প্রতি আসক্ততাও কমাতে পারে।
তেমনই এক ফল হলো আতা। শরতের শুরুতেই এই ফলের দেখা মেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আতা খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। বিভিন্ন স্থানে এই ফলকে শরিফাও বলা হয়, আবার কেউ বলেন নোনা।

আতাফলের শাঁস মিষ্টি ও মসৃণ। যদিও এ ফলটি সব সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না, তবুও এটি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার দাওয়াই হিসেবে কাজ করে।
ভারতের সেলিব্রিটি ডায়েটিশিয়ান পুষ্টিবিদ মুনমুন গ্যানারিওয়াল তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন। জেনে নিন আতাফল খেলে যেভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে ডায়াবেটিস-রক্তচাপসহ নানা সমস্যা--
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুরঃ

আতায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। উচ্চ মাত্রার ফ্রি র‌্যাডিকেল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করতে পারে। যা ক্যানসার-হৃদরোগসহ দীর্ঘস্থায়ী নানা রোগের কারণ।

এক টেস্টটিউব গবেষণায় দেখা গেছে, আতার খোসা ও শাঁস উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এ ফল শরীরের জন্য খুব উপকারী। এই ফলে আছে ভিটামিন এ। যা চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
আতায় আরও আছে পটাশিয়াম। যা রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও আতায় আছে নিয়াসিন ও ফাইবার। যা প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়।

রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
আতাফল আয়রনে পরিপূর্ণ। তাই এই ফল খেলে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা বাড়ে ও রক্তশূন্যতা দূর হয়। আতায় আরও আছে থিয়ামিন। এটি খাবারকে অ্যানার্জিতে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের গঠন মজবুত করে।
এমনকি মাংসপেশির জড়তা দূর করে ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি ৬ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে।

ডায়াবেটিস ও পিএমএস এর জন্য ভালোঃ
পুষ্টিবিদ মুনমুন ব্যাখ্যা করেছেন, আপনি যদি ডায়াবেটিস বা রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন তাহলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আতাফল। এমন রোগীদের জন্য এটি সবচেয়ে ভালো ফল।
উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। একইসঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আতায় উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

এছাড়াও আতা ভিটামিন বি ৬ এর একটি ভালো উৎস। এটি খেলে ফুসকুড়ি ও পিএমএস (মাসিককালীন অসুস্থতা) নিরাময়ে সহায়তা করে।