Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

৫ উপায়ে ফুসফুসের সুস্থ ও কার্যক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব

সুস্থতাকে গুরুত্ব দিলেই বা ক্ষতি কী! বরং নতুন বছরে নিজের ফুসফুসের প্রতি হয়ে উঠুন আরও একটু বেশি যত্নবান। সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ রয়েছে তা ...

সুস্থতাকে গুরুত্ব দিলেই বা ক্ষতি কী! বরং নতুন বছরে নিজের ফুসফুসের প্রতি হয়ে উঠুন আরও একটু বেশি যত্নবান। সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ রয়েছে তা বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসেবে তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা দেখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ধারণক্ষমতা কমে। তাই বয়স ৪০ পেরলেই ফুসফুসের প্রতি নিয়মিত বেশি খেয়াল রাখা দরকার। কম বয়স থেকেই সেই যত্নের পাঠ শুরু হলে তা আরও ভাল ফলদায়ক।

শরীরের গঠন অনুযায়ী নারীর তুলনায় পুরুষের ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বেশি হয়। কিন্তু দীর্ঘ অনিয়ম ও অযত্নে তা কমতে পারে। আবার একটু বেশি যত্ন নিলে নারীর ফুসফুসেরও ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে তাকে সুস্থ রাখা যায়। তাই ফুসফুসের যত্নের প্রশ্নে নারী-পুরুষ উভয়কেই হতে হবে সচেতন।

ফুসফুস বিশেষজ্ঞ মতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে নানা ধরনের ব্যায়াম, বিশেষ করে কিছু কার্ডিও এক্সারসাইজ। সঙ্গে অবশ্যই শ্বাসের কিছু ব্যায়াম, নিজের ওঠাবসার প্রতি খেয়াল রাখা, ধূমপান ত্যাগ— এ সবও ফুসফুসের যত্নের জন্য প্রয়োজন। ফুসফুসের অ্যালভিওলাই যত শক্তিশালী হবে ও ফুসফুসের পেশীগুলি যত মজবুত হবে ততই তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়বে।

শ্বাসের ব্যায়াম: ফুসফুলের কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রতি দিন রুটিনে আনুন কিছু শ্বাসের ব্যায়াম। কেবল ইউ টিউব বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া দেখে নয়, রীতিমতো ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ডায়াফ্রাগমাটিক ব্রিদিং, পার্শড লিপস ব্রিদিং, নানা রকমের প্রাণায়াম ইত্যাদি অভ্যাস করুন। এতে ফুসফুসের পেশী শক্ত হওয়ার পাশাপাশি এর বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে।

কার্ডিও এক্সারসাইজ: সাইক্লিং, রোয়িং, ট্রেডমিল এই সব কার্ডিও এক্সারসাইজগুলো ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে খুব উপযাগী। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা অভ্যাস নয়, বরং মাঝে মাঝে কিছুটা বিরাম নিয়ে এই ধরনের ব্যায়াম রপ্ত করতে পারলে তা ফুসফুসের খাঁচাকে মজবুত করে। শরীরের অন্যান্য রোগের উপর নির্ভর করে এই ধরনের ব্যায়ামের সময়সীমা নির্ণীত হয়। তাই এই ব্যায়ামগুলির আগেও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও ট্রেনারের পরামর্শ প্রয়োজন।

জল: শরীরের প্রয়োজন অনুপাতে জলের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। আপনার কতটুকু জল খাওয়া প্রয়োজন দিনে তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছে। সেই নিয়মেই জল খান। জলের সঙ্গে ফুসফুসেরও সম্পর্ক আছে বইকি! ফুসফুসের মিউকোসাল লাইলিংগুলিকে সরু ও কার্যক্ষম করে তুলতে জলের ভূমিকা অপরিসীম।


ছেড়ে দিন ধূমপান: ফুসফুসে নিকোটিন ও কার্বনের নানা যৌগ ফুসফুসে পৌঁছে তার চরম ক্ষতি করে। তাই ফুসফুস ভাল রাখতে নতুন বছরে অবশ্যই ধূমপানের বদভ্যাসে দাঁড়ি টানুন।

বসার ভঙ্গি: হ্যাঁ, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স-এর গবেষণা অনুসারে সোজা হয়ে না বসে শরীর কুঁচকে বা দুমড়ে মুচড়ে বসলে কিংবা সারা ক্ষণ আধশোয়া হয়ে বসলে ফুসফুসকেও কুঁকড়ে রাখে ও দীর্ঘ দিন এমন অভ্যাস বজায় রাখলে তা ফুসফুসের খাঁচাকে ছোট করে দেয়।