Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

অ্যালার্জি হওয়ার কারণ, ধরন, উপসর্গ, প্রতিরোধে করণীয় জানে নিন

অ্যালার্জি হচ্ছে শরীরের এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা। যাতে কোনো জিনিসের প্রতি শরীরের অতিসংবেদনশীলতা তৈরি হয়। ফলে ওই বস্তু বা জিনিস শরীরের সংস...

অ্যালার্জি হচ্ছে শরীরের এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা। যাতে কোনো জিনিসের প্রতি শরীরের অতিসংবেদনশীলতা তৈরি হয়। ফলে ওই বস্তু বা জিনিস শরীরের সংস্পর্শে এলেই অতি দ্রুত লাল হয়ে যায়, চুলকায়, ফুলে যায়, পানি পড়ে ইত্যাদি। চোখেরও অ্যালার্জি হয়, যা খুবই সাধারণ অসুখ, তবে ছোঁয়াচে নয়। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা সাধারণত নির্মূল করা যায় না, প্রতিরোধ করা যায়। তবে কাজটা কিছুটা কঠিন।

কারণ :

যেসব পদার্থের কারণে অ্যালার্জি হয় তাকে বলা হয় অ্যালার্জেন। এর মধ্যে আছে কিছু খাবার যেমন—ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, ডিম, পালংশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি। আবার প্রসাধন সামগ্রীতেও অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের ওষুধ ও বাতাসে ঘুরে বেড়ানো রেণু, ধুলাবালি, পোকামাকড়েও অ্যালার্জি হয়।

ধরন :

সাধারণত ঋতুজনিত কনজাংটিভাইটিস, পেরিনিয়াল কনজাংটিভাইটিস, ভার্নাল কেরাটো কনজাংটিভাইটিস, অ্যাটপিক, জায়ান্ট প্যাপিলারি, কন্ট্যাক্ট অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস—এই ছয় ধরনের চোখের অ্যালার্জি হতে পারে।

উপসর্গ :

দুই চোখে প্রায় একই সময় শুরু হয় এবং একই রকম উপসর্গ দেখা যায়। সাধারণ কোনো অ্যালার্জেন যেমন—খাবার। প্রসাধনী লাগানো অথবা অন্য কিছুর সংস্পর্শে আসার পরপর শুরু হবে। একই রকম ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে। এতে কিছু সাধারণ উপসর্গ আছে। যেমন—

► অতিরিক্ত চুলকানো
► চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া
► পানি পড়া
► চোখে কিছু একটা পড়ে আছে অনুভূত হওয়া
► আলো সহ্য করতে না পারা
► চোখে সুতার মতো লম্বা ময়লা জমা হওয়া
► দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
► সর্দি, হাঁচি, কাশি ইত্যাদি।

যাদের হতে পারে :

যাদের হাঁপানি, চর্মরোগ, সর্দিজ্বর ইত্যাদি থাকে, তাদের চোখের অ্যালার্জি বেশি হয়।

চোখের কোনো কোনো অসুখও চোখের অ্যালার্জি বলে মনে হতে পারে। যেমন—চোখ ওঠা, আঘাতজনিত চোখের প্রদাহ, চোখে কোনো কিছু পড়ে আটকে থাকলে।

চিকিৎসা:

চোখের অ্যালার্জি হলে তা নিরাময় করা যায়, প্রতিরোধও করা যায়। কিন্তু রোগটা সাধারণত নির্মূল হয় না। কিছু কিছু যেমন—ভার্নাল কনজাংটিভাইটিস কিশোর বয়সে ভালো হয়ে যেতে পারে। তত দিন নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়। অ্যালার্জি হলে ড্রপ ব্যবহার করতে হয়। কখনো কখনো চোখে ব্যথা অনুভূত হলে ব্যথানাশকও সেবন করতে হতে পারে। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে |

প্রতিরোধে করণীয় :

► অ্যালার্জিজাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকা
► ঠাণ্ডা সেঁক দেওয়া
► রোদচশমা ব্যবহার করা।