Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

LATEST UPDATES:

latest

ক্যান্সার থেকে বাঁচতে এই অভ্যাসগুলো আজই বাদ দিন

শরীরের কোনও কোষ অপ্রতিরোধ্যভাবে বিভাজিত হতে শুরু করলে তাকে ক্যানসার বলে থাকেন চিকিৎসকরা। দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু কাজ প্রায়ই করে থাকি য...

শরীরের কোনও কোষ অপ্রতিরোধ্যভাবে বিভাজিত হতে শুরু করলে তাকে ক্যানসার বলে থাকেন চিকিৎসকরা। দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু কাজ প্রায়ই করে থাকি যা কোনো না কোনোভাবে ক্যান্সার ডেকে আনতে সহায়তা করে। অনেক ক্ষেত্রে জেনে বুঝেও ভুলগুলো করে থাকি আমরা। প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস বাদ দিলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।





ভারতীয় ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সোমনাথ সরকারের বরাতে আনন্দবাজার বলছে, ক্যানসারের নানা কারণ থাকে। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে তা দৈনন্দিন অভ্যাস ও কিছু কাজের হাত ধরেও শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে ক্যানসারের ভয় ততই বড় আকার নেবে। তাই কিছু অভ্যাসে রাশ টানতে পারলে জেনেটিক ভাঙচুরকে অনেকটা রুখে দিয়ে রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।

দূষণের মধ্যে থাকা: 
অনেক সময়ই দেখা যায় প্রবল দূষণ, ধোঁয়া-ধুলো এসব জায়গাতেও কোনও রকম প্রতিরোধক ছাড়াই দিনের পর দিন আমরা বসবাস করছি বা দৈনিক কিছুক্ষণের জন্য হলেও দূষণের মধ্যে থাকছি। আজকের দিনে বায়ু দূষণের কাছে আমরা অনেকটাই অসহায়। তাই নিজেকে যেমন একদিকে বায়ু দূষণ থেকে বাঁচাতে শিখতে হবে অন্য দিকে নিজের কারণে যাতে বায়ু দূষণ না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে অন্তত মাস্ক ব্যবহার করুন, তবে যেনোতেনো মাস্ক নয়, সেই মাস্ক যেন চিকিৎসকের মত অনুযায়ী কেনা হয়। বাড়ির চারপাশে এমন পরিবেশ থাকলে বেশি করে গাছ লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।

ই-সিগারেট ও ধূমপান: 
ধূমপায়ীদের মধ্যে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তারা ভেবে থাকেন, এতে কম ক্ষতি হয়। কার্ডিওলজিস্ট প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডলের মতে, এই ধরনের ই-সিগারেটেও সমান ক্ষতি হয়। সাধারণ বিড়ি-সিগারেট ও ই-সিগারেট  সব ক্ষেত্রেই শরীরে ঢুকে তামাক ও কার্বন। শরীরে ক্যান্সার দানা বাঁধার সব উপকরণই আছে এতে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মলিকিউলার সায়েন্স-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এই ই-স্মোকিংয়ের অভ্যাসের কারণে মুখগহ্বরের টিস্যুতে নানা রকম পরিবর্তন দেখা যায়। যে পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক ভাবেই ক্যানসার ডেকে আনে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার:
প্যাকেটবন্দি মাছ, বিভিন্ন রকমের প্যাকেটবন্দি মাংস, সস এগুলোর লোভনীয় স্বাদ আমাদের বার বার এ সবের দিকে টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকদের মতে, এগুলোকে গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন ও গ্রুপ ২ এ কার্সিনোজেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অত্যধিক পরিমাণে এ সব খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

গরম চা-কফি: 
আমাদের বেশিরভাগেরই হয়তো দিনটা শুরুই হয় চা বা কফি দিয়ে। তাতে অবশ্য সমস্যা নাই। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে খুব গরম চা পান করার অভ্যাস যেনো না তৈরি হয়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যানসার-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীদের দাবি, খাদ্যনালীতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে অত্যন্ত গরম চা খাওয়ার প্রবণতা। প্রায় প্রতি দিনই যারা ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রার চা খান, তাদের এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু)-ও ৬৫ ডিগ্রির উপর কোনও পানীয় খেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইতিমধ্যেই।

প্লাস্টিক:
প্লাস্টিক যে ক্যানসারের অন্যতম কারণ তা অনেকেরই জানা। ঘরোয়া দূষণের অন্যতম উৎস হল প্লাস্টিকের বিভিন্ন দ্রব্যের অবাধ ব্যবহার। দৈনন্দিন নানা কাজে ব্যবহার হয় প্লাস্টিকের পণ্য। প্লাস্টিককে পলি কার্বনেটে রূপান্তরিত করেও নানা রকম প্লাস্টিকের দ্রব্য ব্যবহৃত হয়। এর জন্য বিপিএ (বিপিএ বা বিসফেনল এ। এই যৌগ মূলত পলিকার্বনেট প্লাস্টিকের অন্যতম উপাদান।) যৌগটির ব্যবহার করা হয়। বিপিএ আমাদের শরীরে বিভিন্ন খাদ্যবস্তু ও জলের মাধ্যমে প্রবেশ করে। সাধারণ কোনও প্লাস্টিকের বোতলে গরম পানি রাখলে বা প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার তৈরি করলে অথবা পাত্রগুলিকে ডিটারজেন্টে ধুলে বিপিএ মুক্ত হয়। পরে খাবার ও পানীয়ের মধ্যে দিয়ে বিপিএ মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। বিপিএ-র জন্য স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে।

চিনি ভেজে লাল:
মাছ-মাংসের স্বাদ ও রং বাড়াতে অনেকেই তেলে চিনি ভেজে লাল করে নেন। মাংসের ঝোলে লালচে রং আনতে অনেকেই এটি করেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, চিনি কোষকে ভাঙতে সাহায্য করে। তাই চিনি এমনিতেই খুব একটা নিরাপদ নয়। আর চিনি ভাজলে চিনির কার্বন যোগ ভেঙে তা সরাসরি খাবারে মেশে।

হেয়ার ডাই:
অনেকে ফ্যাশনের জন্য আবার অনেকে চুলে রং করেন পাকা চুল ঢাকতে। কিন্তু জানে রাখুন, এই ডাইয়ে থাকে অ্যামোনিয়াসহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক- যা চুলের ত্বকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ও কার্সিনোজেনের মতো আচরণ শুরু করে। এই ডাই থেকে স্তন ক্যানসার ও ত্বকের ক্যানসারের ভয় থাকে।
সূত্র: আনন্দবাজার