নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশু ও নবজাতককে বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাপদ রাখতে কিছু টিকা বিশেষভাবে প্রয়োজন। হাম ও রুবেলা প্রতির...
নারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশু ও নবজাতককে বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাপদ রাখতে কিছু টিকা বিশেষভাবে প্রয়োজন। হাম ও রুবেলা প্রতিরোধে এমআর টিকা, ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধে টিটি টিকাসহ কয়েকটি টিকা এর মধ্যে অন্যতম।
এমআর টিকা :
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনো নারী রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর গুরুতর কিছু স্বাস্থ্য জটিলতা, এমনকি বিকলাঙ্গও হতে পারে। হৃৎপিণ্ডে সমস্যা, চোখে ছানি, মাথা ছোট, বধিরতা-এসব সমস্যা নিয়ে শিশুর জন্ম হতে পারে। একে বলা হয় জন্মগত রুবেলা সিনড্রোম। যেকোনো শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হলে প্রথম ডোজ ও ১৫ মাস পূর্ণ হলে দ্বিতীয় ডোজ এমআর টিকা দিতে হয়। যেসব মেয়ে শিশুকে শৈশবে এই টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের রুবেলা প্রতিরোধের জন্য পরবর্তী সময়ে মা হওয়ার আগেই হাম, মাম্পস ও রুবেলা প্রতিরোধী ‘এমএমআর’ টিকা নিতে হয়। গর্ভধারণের কমপক্ষে এক মাস আগে এমআর বা এমএমআর টিকা নেওয়া শেষ করতে হবে।
টিটি টিকা :
ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধে মেয়েদের ১৫ বছর বয়স হলেই যথাশিগগির প্রথম ডোজ টিটি টিকা নিতে হবে। এর চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ, তার ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ, এর এক বছর পর চতুর্থ ডোজ এবং শেষোক্ত ডোজের এক বছর পর পঞ্চম ডোজ বা শেষ ডোজ টিটি টিকা নিতে হবে। গর্ভধারণের আগেই এই পাঁচ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে গর্ভকালীন আর টিটি টিকা নেওয়ার দরকার পড়ে না। গর্ভধারণের আগে দুই ডোজ নেওয়া থাকলে গর্ভকালীন তৃতীয় ডোজ এবং সন্তান প্রসবের পর চতুর্থ ও পঞ্চম ডোজ নিতে হবে। গর্ভধারণের আগে তিন ডোজ নেওয়া থাকলে এবং গর্ভকালীন এক বছর অতিক্রান্ত না হলে এ সময় চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সন্তান প্রসবের পর চতুর্থ ও পঞ্চম ডোজ নিতে হবে। তবে আগে টিটি টিকা নেওয়া না থাকলে গর্ভকালীন দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। এর মধ্যে শেষ ডোজটি সন্তান প্রসবের অন্তত এক মাস আগে নিতে হবে।
হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধের টিকা :
গর্ভবতী মায়ের হেপাটাইটিস বি হলে সন্তান প্রসবের সময় এ রোগের জীবাণু শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কাজেই গর্ভধারণের আগেই একজন নারীর তিন ডোজ হেপাটাইটিস বি টিকা নেওয়া জরুরি।
জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের টিকা
জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রতিরোধের একাধিক টিকা আছে। ৯ বছর বয়স থেকে শুরু করে ১৩ বা ১৫ বছরের মধ্যে এসব টিকা নিতে হবে। দুই ডোজের এই টিকার প্রথম ডোজের ছয় মাস পরে দ্বিতীয় ডোজটি নিতে হয়। ১৫ বছর বয়সের মধ্যে টিকা না নিলে ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সের মধ্যে তিন ডোজে এই টিকা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় মাসের সময় তৃতীয় ডোজ নিতে হবে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনো নারী রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর গুরুতর কিছু স্বাস্থ্য জটিলতা, এমনকি বিকলাঙ্গও হতে পারে। হৃৎপিণ্ডে সমস্যা, চোখে ছানি, মাথা ছোট, বধিরতা-এসব সমস্যা নিয়ে শিশুর জন্ম হতে পারে। একে বলা হয় জন্মগত রুবেলা সিনড্রোম। যেকোনো শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হলে প্রথম ডোজ ও ১৫ মাস পূর্ণ হলে দ্বিতীয় ডোজ এমআর টিকা দিতে হয়। যেসব মেয়ে শিশুকে শৈশবে এই টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের রুবেলা প্রতিরোধের জন্য পরবর্তী সময়ে মা হওয়ার আগেই হাম, মাম্পস ও রুবেলা প্রতিরোধী ‘এমএমআর’ টিকা নিতে হয়। গর্ভধারণের কমপক্ষে এক মাস আগে এমআর বা এমএমআর টিকা নেওয়া শেষ করতে হবে।
টিটি টিকা :
ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধে মেয়েদের ১৫ বছর বয়স হলেই যথাশিগগির প্রথম ডোজ টিটি টিকা নিতে হবে। এর চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ, তার ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ, এর এক বছর পর চতুর্থ ডোজ এবং শেষোক্ত ডোজের এক বছর পর পঞ্চম ডোজ বা শেষ ডোজ টিটি টিকা নিতে হবে। গর্ভধারণের আগেই এই পাঁচ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে গর্ভকালীন আর টিটি টিকা নেওয়ার দরকার পড়ে না। গর্ভধারণের আগে দুই ডোজ নেওয়া থাকলে গর্ভকালীন তৃতীয় ডোজ এবং সন্তান প্রসবের পর চতুর্থ ও পঞ্চম ডোজ নিতে হবে। গর্ভধারণের আগে তিন ডোজ নেওয়া থাকলে এবং গর্ভকালীন এক বছর অতিক্রান্ত না হলে এ সময় চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সন্তান প্রসবের পর চতুর্থ ও পঞ্চম ডোজ নিতে হবে। তবে আগে টিটি টিকা নেওয়া না থাকলে গর্ভকালীন দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। এর মধ্যে শেষ ডোজটি সন্তান প্রসবের অন্তত এক মাস আগে নিতে হবে।
হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধের টিকা :
গর্ভবতী মায়ের হেপাটাইটিস বি হলে সন্তান প্রসবের সময় এ রোগের জীবাণু শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কাজেই গর্ভধারণের আগেই একজন নারীর তিন ডোজ হেপাটাইটিস বি টিকা নেওয়া জরুরি।
জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের টিকা
জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রতিরোধের একাধিক টিকা আছে। ৯ বছর বয়স থেকে শুরু করে ১৩ বা ১৫ বছরের মধ্যে এসব টিকা নিতে হবে। দুই ডোজের এই টিকার প্রথম ডোজের ছয় মাস পরে দ্বিতীয় ডোজটি নিতে হয়। ১৫ বছর বয়সের মধ্যে টিকা না নিলে ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সের মধ্যে তিন ডোজে এই টিকা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় মাসের সময় তৃতীয় ডোজ নিতে হবে।