বারান্দা আর ছাদের পাশাপাশি ঘরের কোণেও যদি গোটা কয়েক ছোট্ট সুন্দর গাছ রাখা যায়, তবে আপনার ঘরের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যাবে। আর আপনি পাবেন ঘরে...
বারান্দা আর ছাদের পাশাপাশি ঘরের কোণেও যদি গোটা কয়েক ছোট্ট সুন্দর গাছ রাখা যায়, তবে আপনার ঘরের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যাবে। আর আপনি পাবেন ঘরের মাঝে একটি সতেজ পরিবেশ।
যেসব গাছ ঘরে রাখলে তাদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় না, মূলত তাদেরই ইনডোর প্লান্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ইনডোর প্লান্ট সম্পর্কে সঠিক ধারণা আমাদের ঘর সাজাতে আরেকটু বেশি সাহায্য করবে। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন, সাময়িকভাবে সুন্দর দেখতে পাওয়াই সব নয়, ঘরের ভেতর গাছ রাখলে নিতে হবে এর বিশেষ যত্ন, তা না হলে আপনার ঘর অপরিষ্কার দেখাবে আর গাছগুলোও বাঁচবে না।
আসুন জেনে নেয়া যাক কী করে যত্ন নেবেন আপনার ইনডোর প্লান্টের-
-ইনডোর প্লান্ট এসি বা কুলারের খুব কাছে রাখবেন না, এতে গাছ খুব জলদি শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে গাছের জায়গা বদল করুন।
-গাছ লাগানোর সময় বেলে মাটি ব্যবহার করুন। কেননা এই মাটিতে পানি বেশি সময় স্থায়ী হয় না। ইনডোর প্লান্টের গোড়ায় পানি জমে গেলে গাছ বাঁচবে না। বাসায় যদি টবে গাছ লাগাতে সমস্যা হয় তবে নার্সারি থেকেই লোক দিয়ে টবে গাছটি লাগিয়ে নিন।
-ইনডোর প্লান্ট বেশি বড় করবেন না, ঘর অন্ধকার দেখাবে। এ কারণে বাড়তি পাতা ছেঁটে রাখুন। এ ছাড়া শুকনো ফুল ও পাতা ছেঁটে দিন।
-সপ্তাহে এক থেকে দুবার গাছ রোদে দিতে হবে। সকালের হালকা রোদই উপকারী। নিয়ম মেনে গাছে পানি দিন। দিনে দুবার সাধারণত মোটামুটি সব গাছের ক্ষেত্রেই খাটে, সকালে একবার আর বিকেলে রোদ কমে গেলে আরেকবার। তবে পরিমাণ বুঝে পানি দিন। আর কতটা দিতে হবে তা কেনার সময়ই ভালো করে জেনে নিন।
-সাত থেকে ১০ দিন পরপর টবের মাটি ওলটপালট করে দিন, এতে গাছের মাটির নিচের ক্ষতিকর গ্যাস বের হয়ে যাবে। তবে খুবই সাবধানে কাজটি করতে হবে। যাতে গাছের শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হয়।
-পচা পাতা গাছের কাছে জমিয়ে না রেখে দ্রুত ফেলে দিন ।
-গাছের পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে শুরু করলে গাছটিকে ঠাণ্ডা ও তাপ কম পৌঁছায় এমন স্থানে রাখুন। কারণ অতিরিক্ত তাপ লাগলে পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে শুরু করে।
-রাতে গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে, তাই সম্ভব হলে রাতে শোবার ঘর থেকে সরিয়ে বারান্দায় রাখুন। আর যদি সরানো সম্ভব না হয় তবে শোবার ঘরের জানালা খুলে রাখুন।
-বর্ষাকালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে টবে জমা পানি থেকে এদের উৎপত্তি হয়ে থাকে। সপ্তাহে একবার গাছে উপযোগী মেডিসিন দিন, তা হলে পোকামাকড় ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
-ফ্ল্যাট বাড়িতে কিংবা অফিসের ভেতর গাছ রাখার জন্য আমরা অনেকেই কারুকাজ সজ্জিত টব ব্যবহার করি। কিন্তু যখনই দেখবেন গাছের শিকড় টবের নিচে থাকা ছিদ্রের দিকে বেড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই নতুন টবে গাছ সরিয়ে ফেলুন। পানি দেয়ার পর লক্ষ রাখুন যেন বাড়তি পানি টবের নিচের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে না যায়। টবের নিচে মাটির থালা ব্যবহার করুন, তাতে পানিতে ঘর ময়লা হবে না।
-গাছের পাতায় একটা সাদা ছোপ ছোপ দেখা যায়, এটা এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি মুছে ফেলুন, দেখবেন পাতা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
-গাছের ধূলো পরিষ্কার করতে পালকের ডাস্টার ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের ডাস্টার থেকে ছোট ছোট পোকা গাছের পাতায় গিয়ে গাছের ক্ষতি করতে পারে। পানি দিয়ে গাছ পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো।
যেসব গাছ ঘরে রাখলে তাদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় না, মূলত তাদেরই ইনডোর প্লান্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ইনডোর প্লান্ট সম্পর্কে সঠিক ধারণা আমাদের ঘর সাজাতে আরেকটু বেশি সাহায্য করবে। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন, সাময়িকভাবে সুন্দর দেখতে পাওয়াই সব নয়, ঘরের ভেতর গাছ রাখলে নিতে হবে এর বিশেষ যত্ন, তা না হলে আপনার ঘর অপরিষ্কার দেখাবে আর গাছগুলোও বাঁচবে না।
আসুন জেনে নেয়া যাক কী করে যত্ন নেবেন আপনার ইনডোর প্লান্টের-
-ইনডোর প্লান্ট এসি বা কুলারের খুব কাছে রাখবেন না, এতে গাছ খুব জলদি শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া মাঝে মধ্যে গাছের জায়গা বদল করুন।
-গাছ লাগানোর সময় বেলে মাটি ব্যবহার করুন। কেননা এই মাটিতে পানি বেশি সময় স্থায়ী হয় না। ইনডোর প্লান্টের গোড়ায় পানি জমে গেলে গাছ বাঁচবে না। বাসায় যদি টবে গাছ লাগাতে সমস্যা হয় তবে নার্সারি থেকেই লোক দিয়ে টবে গাছটি লাগিয়ে নিন।
-ইনডোর প্লান্ট বেশি বড় করবেন না, ঘর অন্ধকার দেখাবে। এ কারণে বাড়তি পাতা ছেঁটে রাখুন। এ ছাড়া শুকনো ফুল ও পাতা ছেঁটে দিন।
-সপ্তাহে এক থেকে দুবার গাছ রোদে দিতে হবে। সকালের হালকা রোদই উপকারী। নিয়ম মেনে গাছে পানি দিন। দিনে দুবার সাধারণত মোটামুটি সব গাছের ক্ষেত্রেই খাটে, সকালে একবার আর বিকেলে রোদ কমে গেলে আরেকবার। তবে পরিমাণ বুঝে পানি দিন। আর কতটা দিতে হবে তা কেনার সময়ই ভালো করে জেনে নিন।
-সাত থেকে ১০ দিন পরপর টবের মাটি ওলটপালট করে দিন, এতে গাছের মাটির নিচের ক্ষতিকর গ্যাস বের হয়ে যাবে। তবে খুবই সাবধানে কাজটি করতে হবে। যাতে গাছের শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হয়।
-পচা পাতা গাছের কাছে জমিয়ে না রেখে দ্রুত ফেলে দিন ।
-গাছের পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে শুরু করলে গাছটিকে ঠাণ্ডা ও তাপ কম পৌঁছায় এমন স্থানে রাখুন। কারণ অতিরিক্ত তাপ লাগলে পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে শুরু করে।
-রাতে গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে, তাই সম্ভব হলে রাতে শোবার ঘর থেকে সরিয়ে বারান্দায় রাখুন। আর যদি সরানো সম্ভব না হয় তবে শোবার ঘরের জানালা খুলে রাখুন।
-বর্ষাকালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে টবে জমা পানি থেকে এদের উৎপত্তি হয়ে থাকে। সপ্তাহে একবার গাছে উপযোগী মেডিসিন দিন, তা হলে পোকামাকড় ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
-ফ্ল্যাট বাড়িতে কিংবা অফিসের ভেতর গাছ রাখার জন্য আমরা অনেকেই কারুকাজ সজ্জিত টব ব্যবহার করি। কিন্তু যখনই দেখবেন গাছের শিকড় টবের নিচে থাকা ছিদ্রের দিকে বেড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই নতুন টবে গাছ সরিয়ে ফেলুন। পানি দেয়ার পর লক্ষ রাখুন যেন বাড়তি পানি টবের নিচের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে না যায়। টবের নিচে মাটির থালা ব্যবহার করুন, তাতে পানিতে ঘর ময়লা হবে না।
-গাছের পাতায় একটা সাদা ছোপ ছোপ দেখা যায়, এটা এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি মুছে ফেলুন, দেখবেন পাতা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
-গাছের ধূলো পরিষ্কার করতে পালকের ডাস্টার ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের ডাস্টার থেকে ছোট ছোট পোকা গাছের পাতায় গিয়ে গাছের ক্ষতি করতে পারে। পানি দিয়ে গাছ পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো।